Ticker

6/recent/ticker-posts

সীতাকুন্ড সুপ্তধারা ঝর্ণা - চট্টগ্রাম

 

সুপ্তধারা ঝর্ণা, সীতাকুন্ড চট্টগ্রাম
সুপ্তধারা ঝর্ণা

চট্টগ্রামের পাহাড় ও ঝর্ণায় ঘেরা সীতাকুন্ড উপজেলায় রয়েছে বেশকিছু ঝর্ণা ও জলপ্রপাত৷ এর মধ্যে সুপ্তধারা ঝর্ণা অন্যতম। সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ রিজার্ভ ফরেস্টের চিরসবুজ বনাঞ্চলে সমৃদ্ধ সীতাকুন্ড ইকোপার্কের অভ্যন্তরে রয়েছে সুপ্তধারা ঝর্ণা ও আরো বেশ কয়েকটি জলপ্রপাত। বছরের প্রায় সময় এইখানে কম পানি থাকলেও বর্ষাকালে  এই ঝর্ণার অপরুপ সৌন্দর্যের দেখা মেলে। ইকোপার্কের ভিতর আরেকটি ঝর্ণা আছে তা হলো সহস্রধারা ঝর্ণা। তাই, বর্ষা মৌসুমে এইসব ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশ-বিদেশ হতে দর্শনার্থী এসে ভীড় করেন সীতাকুণ্ড ইকোপার্কে। 

পার্কের মূল গেইট হতে কয়েক কিলোমিটার পথ পাড় হয়ে ডানপাশে পাহাড়ি ঝিরিপথ বেয়ে নিচের দিকে গেলেই দেখা মিলবে সুপ্তধারা ঝর্ণার। 


কিভাবে যাবেন 

ঢাকা হতে চট্রগ্রাম পথে বাস রওনা হয়। সায়েদাবাদ বা গাবতলি হতে এস আলম, গ্রীনলাইন, সৌদিয়া, সোহাগ,  সিল্ক লাইন যেকোনো বাস করেই চট্টগ্রাম আসতে পারেন। এবং চট্টগ্রাম আসার পথে সীতাকুণ্ড বাস স্টপেজ হতে দুই কিলোমিটার পর ফকিরহাট এসে বাস হতে নামতে হবে। যদি সীতাকুণ্ড নামেন তাহলে ওইখান থেকে সিএনজি করে ফকিরহাট আসতে হবে।

চট্টগ্রাম হতে সীতাকুণ্ড আসার বিভিন্ন লোকাল বাস আছে যেগুলো অলঙ্কার,  একেখান হতে সীতাকুন্ড বাস স্ট্যান্ড যাওয়ার পথে ফকিরহাট নেমে যাতে পারেন। এছাড়া রিজার্ভ সিএনজি করেও সীতাকুন্ড ফকিরহাট আসতে পারেন। 


ইকোপার্কের  টিকেট মূল্য ও সময়সূচি 

পার্কের প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা নিয়ে থাকেন। সকাল ৮ টা হতে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সপ্তাহের প্রতিদিন এটি খোলা থাকে।


কোথায় থাকবেন 

সীতাকুণ্ডে একদিন থেকে এখানের বেশ কিছু ঝর্ণা ও পাহাড় ঘুরে দেখতে পারেন। এজন্য থাকার ব্যবস্থা হিসেবে এইখানে মাঝারি মানের বেশকিছু হোটেল আছে যেখানে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সীতাকুন্ড ডি-টি রোডের পাশে সৌদিয়া নামের একটি নতুন আবাসিক হোটেল তৈরি হয়েছে যেখানে কম খরচে আরামে থাকতে পারবেন। এবং উপজেলায় টেলি-কমিউনিকেশন এর অধিনে একটি ডাক-বাংলো আছে অনুমতি নিয়ে এখানেও থাকতে পারবেন। এছাড়া থাকার জন্য চট্টগ্রাম চলে আসতে পারেন এইখানে বেশ ভালোমানের হোটেল রয়েছে।  


আশপাশের দর্শনীয় স্থান 

সীতাকুন্ড ও মিরসরাই ঘিরে এইখানে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেমন, চন্দ্রনাথ পাহাড়, খৈয়াছড়া ঝর্ণা, সহস্রধারা ঝর্ণা, গুলিয়াখালী বিচ, নাপিত্তা ছড়া ইত্যাদি৷ হাতে সময় থাকলে দুইদিন থেকে এইসব পাহাড় ঝর্ণা গুলো ও ঘুরে দেখতে পারেন। 


 সতর্কতা - পাহাড়ি পথ খুবই ঝুকিপূর্ণ হয় এছাড়া বর্ষায় এইসব পথ পিছলা হয়ে পড়ে। তাই, এক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা মেনে ভ্রমণ করা উচিত।  এজন্য, ভালো জুতো বা স্লিপার পড়তে হবে এবং ব্যাগে কিছু বাড়তি কাপড় রাখা ভালো। আর অবশ্যই সাথে পানি রাখতে ভুলবেন না এবং শুকনো খাবার ও রাখতে পারেন। 

 

বিঃ দ্রঃ - ভ্রমণ করার সময় যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না। 

(চাঁদের পাহাড় ট্যুরিজম)



সীতাকুন্ড ইকোপার্কের অভ্যন্তরে অবস্থিত সহস্রধারা ঝর্ণা সম্পর্কে পড়ুন

sohosrodhara-waterfall

Post a Comment

3 Comments