
গুলিয়াখালীর বীচে যাওয়ার উপায়
গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত। তাই দেশের যেকোনো স্থান হতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বাজারে আসতে হবে।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসার বিভিন্ন বাস রয়েছে। এতে করে চট্টগ্রাম আসার পথে সীতাকুন্ডে নেমে যেতে হবে। আগে থেকে বাসের সুপারভাইজার কে সীতাকুন্ডে নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে রাখা ভালো।
চট্টগ্রাম থেকে গুলীয়াখালী বীচে আসার জন্য সীতাকুন্ড বাজারে আসতে হবে। চট্টগ্রামের একে খান, অলঙ্কার মোড় থেকে সীতাকুন্ডের বিভিন্ন লোকাল বাস রয়েছে যেগুলো সীতাকুণ্ড বাজারে যায়।
💭চট্টগ্রাম নিউমার্কেট এর পুরানো রেলস্টেশন থেকে ৭ নং বাস জিইসি হয়ে একেখান দিয়ে সোজা সীতাকুণ্ড বাজারে যাই। তাই লোকাল এই বাস গুলো করে খুব তাড়াতাড়ি সীতাকুণ্ড পৌছাতে পারবেন।
সীতাকুণ্ড থেকে গুলিয়াখালী বীচ
সীতাকুন্ড বাজার আসার পর এইখানে ব্রীজের নিচে কিছু অটো, সিএনজি সোজা গুলিয়াখালী বীচ পর্যন্ত যাই। লোকাল অটো জনপ্রতি ৩০ টাকা ভাড়া নেয়। এছাড়া রিজার্ভ ১৫০ টাকার মধ্যে দরদাম করে সিএনজি নিতে পারেন। আবার আসার সময় ওইখানে সিএনজি পাওয়া যাবে অথবা সিএনজি ড্রাইভার এর নাম্বার নিয়ে রাখতে পারেন।
কোথায় খাবেন
বীচে তেমন কোনো দোকান নেই কয়েকটা চা ও ফুচকার দোকান ছাড়া। এজন্য সীতাকুন্ড বাজার থেকে খাবার খেয়ে আসতে পারেন অথবা ব্যাগে করে চিপস চকলেট স্ন্যাকস রাখতে পারেন
থাকার ব্যবস্থা
গুলিয়াখালী বীচে একদিনে ঘুরে আসা যায় তবে সীতাকুণ্ডের বাকি দর্শনীয় স্থান সমূহ ঘুরে দেখার জন্য একটা রাত থাকতে পারেন। এজন্য সীতাকুন্ড বাজারে কিছু মাঝারি মানের হোটেল রয়েছে এখানে রাত কাটাতে পারেন যেমন সাইমুন ও সৌদিয়া হোটেল। এছাড়া ভালো হোটেল এর জন্য চট্টগ্রাম শহরে চলে যেতে পারেন।
আশপাশের দর্শনীয় স্থান সমূহ
- চন্দ্রনাথ পাহাড়
- সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক
- সহস্রধারা ঝর্ণা
- সুপ্তধারা ঝর্ণা
- খৈয়াছড়া ঝর্ণা
- নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা
সতর্কতাঃ সমুদ্রের তীরে বেশি রাত অবধি না থাকায় ভালো। এবং সাঁতার জানা না থাকলে সমুদ্রের বেশি দূরে যাবেন না। প্রয়োজনে টুরিস্ট পুলিশ এর নাম্বার সাথে রাখবেন। এবং জোয়ার এর সময় সমুদ্রের কাছে যাওয়া হতে বিরত থাকুন।
বিঃ দ্রঃ - ভ্রমণ করার সময় যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না।
(চাঁদের পাহাড় ট্যুরিজম)

0 Comments