Ticker

6/recent/ticker-posts

আহসান মঞ্জিল, ঢাকা

 

আহসান মঞ্জিল

আহসান মঞ্জিল তৎকালীন নবাবদের তৈরি একটি প্রাসাদ। এটি পুরান ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। ধারণা করা হয় যে এইটি ঢাকা শহরের প্রথম ইট-পাথরের তৈরি স্থাপত্য নিদর্শন। বিশাল এই ভবনের মেঝে ও বারান্দা তৈরি হয়েছে মার্বেল পাথর দিয়ে। দোতলা এই প্রাসাদটির ভিতরে রয়েছে বড় বড় কক্ষ। এতে আছে লাইব্রেরি, খাবার ঘর,  জলসাঘর ও বিলিয়ার্ড খেলার ঘর। এর দোতলায় আছে অতিথিদের থাকার কক্ষ, নাচঘর, বৈঠকখানা এবং অনান্য অনেক কক্ষ। বাইরের গোলাপি রঙের কারণে একে গোলাপি প্রাসাদ ও বলা হতো। প্রাসাদের সামনে রয়েছে সবুজ মাঠ ও সুন্দর ফুলের বাগান।
এর সৌন্দর্য পশ্চিমাদের ও বিশেষ ভাবে আকৃষ্ট করে। ধারনা করা হয় তৎকালীন ব্রিটিশ লর্ড কার্জন ঢাকায় আসলে এই প্রাসাদেই থাকতেন।
এই প্রাসাদের উৎপত্তি ও কার্যকলাপ নিয়ে অনেক ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ আছে। তবে বিশেষ করে এইটি তৎকালীন মোগল আমলের জমিদার শেখ এনায়েত উল্লাহের তৈরি একটি রঙমহল হিসেবেই পরিচিত। উনার বিচিত্র স্বাদ আহ্লাদ এর ভিত্তিতে তৈরিকৃত এই প্রাসাদে তিনি দেশ-বিদেশের থেকে নিয়ে আসা সুন্দরী নারীদের গহনা ও দামী কাপড় পড়িয়ে রাখতেন।  এমনকি এখানেরই একজন নারীর প্রতি তিনি আকর্ষিত হয়েছিলেন পরবর্তীতে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তার মৃত্যু হয় এবং ওই নারী ও পরে
আত্মহত্যা করে।

কি আছে এখানে
বর্তমানে আহসান মঞ্জিল কে বাংলাদেশ সরকার জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষিত করেছে। ১৯৯২ সালে জাদুঘর হিসেবে এটি সর্বসাধারণ এর জন্য উন্মুক্ত করেন। এখানের ২৩ টি রঙমহলের কক্ষে মোট ৪ হাজার ৭৭ টি নিদর্শন আছে। ঘুরে দেখতে পারবেন এছাড়াও প্রাসাদের সৌন্দর্য খুবই চমৎকার।  উপভোগ করতে পারেন ঐতিহ্যের নিদর্শন সমূহ

কিভাবে যাবেন
এটি পুরান ঢাকার ইসলামপুরে অবস্থিত।  ঢাকার যেকোনো জায়গা থেকে গুলিস্তান এসে এরপর টেক্সি, সিএনজি যেকোনো ভাবে আহসান মঞ্জিল আসতে পারবেন।
গুলিস্তান হতে নয়াবাজার মোড় হয়ে বাবুবাজার ব্রিজ দিয়ে ইসলামপুর আসতে পারেন। এরপর ইসলাম পুর থেকে যে কোনো রিক্সা, সিএনজি করে সোজা আহসান মঞ্জিল
আর যদি পুরান ঢাকা থেকে আসেন তবে সদরঘাট এলাকা এসে এরপর পায়ে হেটেও আহসান মঞ্জিল আসতে পারেন
চট্টগ্রাম থেকে- ঢাকায় আসার পর ঘুরে বেড়ানোর পর্যটন জায়গা হিসেবে আহসান মঞ্জিল উত্তম। ঢাকার যেকোনো জায়গা হতে একই ভাবে গুলিস্তান হতে আসতে পারেন আহসান মঞ্জিল। 

টিকেট মূল্য ও পরিদর্শন সময়
সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রতিজন ২০ টাকা করে প্রবেশ টিকিট। ১২ বছরের নিচে বা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য জনপ্রতি ১০ টাকা।  বিদেশী পর্যটকদের জন্য জনপ্রতি ১০০ টাকা দিতে হয়। আর,  প্রতিবন্ধী দের জন্য প্রবেশ টিকেট ফ্রি। এছাড়া আগে থেকে আবেদন করা হলে শিক্ষার্থীরা ও বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারেন।
সময়- সপ্তাহের  শনিবার থেকে বুধবার সকাল ১০ টা ৩০ মিনিট হতে বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। এবং সরকারী যেকোনো ছুটিতে আহসান মঞ্জিল বন্ধ থাকে

আশপাশের দর্শনীয় স্থান
জাতীয় জাদুঘর
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
বলধা গার্ডেন


Post a Comment

0 Comments